সভ্যতা ও নিষিদ্ধ নারীর গল্প
- কর্মকার অনুপ কুমার ১৭-০৫-২০২৪

যে মেয়েটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে
এ রাস্তাটি তার কাছে মোটেও নতুন নয়,
হয়তো মগবাজার, কাকরাইল কিংবা ফার্মগেট
সব রাস্তার অর্থ তার কাছে একই।

সভ্যতার আকাশের সূর্য্য এ রাস্তায়
তার জন্য ভুলেও আলো বর্ষন করে না।

তারপর একদিন অসভ্য আখ্যা দিয়ে
নিষিদ্ধ করা হল মেয়েটিকে।

মাঝে মাঝে সভ্যতা ব্যাপারটিকে
বড় একপাক্ষিক মনে হয় তার কাছে।
মনে প্রশ্ন জাগে,
কেন আমি এ সভ্যতার অংশ নই?
আমিতো সভ্যতার মনোরঞ্জনের জন্যই
পথে পথে যৌবন বিলাই প্রতি রাতে,
লালন করে চলি শারীরিক সভ্যতাকে।

অথচ প্রতি রাতেই এ সভ্যতা তাকে
অর্থের ঘ্রানে উদাত্ব যৌন আহব্বান জানায়,
হয়তো হোটেলে কিংবা বাড়ির বন্ধ কক্ষে
তার দেহ থেকে অন্তর্বাস খুলে নগ্ন করে তাকে,
সভ্যতাও নগ্ন হয়, নগ্ন হয় নিষিদ্ধের সামনে।
এরপর মেয়েটির বাধ্য হয়ে শুয়ে কিংবা দাড়িয়ে থাকা,
চলে নরম মাংসের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত আসা যাওয়া
দশ মিনিট, আধ ঘন্টা কিংবা পশ্চিমের এক ঘন্টা।

এভাবেই প্রতিরাতে সভ্যতার নিত্য আসা যাওয়া।

এভাবেই কেটে যায় তার জীবনের
মধু বিলানো যৌবন।
দিতে দিতে আর কত থাকে?
তারপর মধু ফুরিয়ে যাওয়া দেহ নিয়ে
চলে তার নিষিদ্ধ আবাসন।

রাস্তা দাড়িয়ে আছে,
দাড়িয়ে আছে সভ্যতাও।
মানসিকতা, রাস্তা এবং সভ্যতা
কিছুই পরিবর্তন হয় না এর।
পরিবর্তন হয় শুধু দাড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর
পরিবর্তন হয় শুধু ক্ষুধার্থ অসহায় চোখ গুলোর,
পরিরর্তন হয় শুধু নিষিদ্ধ দেহের।

৩১শে অক্টোবর, ২০১৩ইং
ক্যাফেটেরিয়া
ছাত্র ও শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।